চরম ঠাণ্ডায় ট্রেকিং এর কাপড় চোপড়

ট্রেকিং এর কাপড়

চরম ঠাণ্ডায় ট্রেকিং এর কাপড় চোপড়, কি ধরনের কাপড় পড়বেন…

 


ট্রিপ প্লান করার সময় যে-স্থানে যাব সেখানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত হবে তা যেনে নিয়ে কাপড় চোপর রেডি করতে হবে। মোটা মোটা ঢাউস সুয়েটার কম্বল না নিয়ে ট্রেকাররা সবসময় টেকনিকাল ঊয়ার ব্যবহার করেন কারণ সাধারণ গরম কাপড়ের ওজন বেশি ও কার্যক্ষমতা কম।

 

অতি ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় আমরা যে প্রণালি তে গরম কাপড় নিব সেটাকে বলা হয় লেয়ার ক্লদিং বা লেয়ারিং সিস্টেম। সাধারণ ঘুরতে যাওয়ার সাথে ট্রেকিং বা যেকোনো আউটডোর এক্টিভিটির পার্থক্য হচ্ছে গরমে ঘেমে যাওয়া থেকে শিতে কাপাকাপি কোনকিছুই বাদ যায় না। লেয়ারিং সিস্টেমে প্রয়োজন মাফিক কাপড় কমান বাড়ান যায়। লেয়ারিং সিস্টেমে মূলত ৪ টি মুল লেয়ার থাকে:

 

 

১। বেস লেয়ার

সিনথেটিকের ইনার লেয়ার। খুবই পাতলা শরীরের সাথে লেগে থাকে এমন ইনার লেয়ার। বেস লেয়ার কখনই সুতি হওয়া চলবে না, সুতি ঘাম শুষে নিয়ে ভিজে থাকবে ও ঠাণ্ডা বাড়িয়ে তুলবে শরীরের। অপর দিকে সিনথেটিকের লেয়ার ঘাম শুষে নিবে ও তা বের করে দিবে বাস্পাকারে। এই লেয়ারটিকে শরীরের সাথে লেগে থাকা হতে হবে, ঢিলা হলে চলবে না।

 

 

২। মিড লেয়ার

বেস লেয়ারের পরের লেয়ার টি মিড লেয়ার। মিড লেয়ার কয়েক-ভাবে করা যায়। সিনথেটিকের গেঞ্জি বা হাল্কা সুয়েটার সাথে বাতাস আটকায় এমন একটা পাতলা জ্যাকেট। ফ্লিস এর পুলওভার বা গেঞ্জি হলেও চলবে।

 

 

৩। ইনসুলেশন

মোটা ফুলা ফুলা জ্যাকেট যা আপনাকে সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা দিবে। সিনথেটিক ফাইবার (প্রাইমালফট / থারমবল বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ব্রান্ড ডেকে থাকে) অথবা গুস ডাউনের তৈরি। গুস ডাউন বা হাসের লোম থেকে তৈরি জ্যাকেট ওজনে হাল্কা, প্যাক করলে অনেক ছোট এবং সবচেয়ে বেশি গরম। ভিজে গেলে শুকাতে অনেক সময় লাগে। এই লেয়ার সাধারণত যখন কন একটিভিটি থাকে না তখন লাগবে, যেমন রাতে, সকালে ও দিনের মাঝে বিশ্রামের সময়।

 

সিনথেটিক ফাইবারের তৈরি জ্যাকেট ডাউনের থেকে ভারি, সাইজে বড় ও গরম তুলনামূলক ভাবে কম। ভিজে গেলেও কাজ করে। এই লেয়ারের জ্যাকেটের উপরের কাপড় সাধারণত পাতলা ওয়াটার রেপেলেন্ট ব্রিদেবল পলিসটার বা নাইলনের হয়। মনে রাখতে হবে এই লেয়ারকে কোনভাবেই ভেজান যাবে না।

 

৪। আওটার শেল

এই লেয়ারটি লাগবে শুধুমাত্র খারাপ আবহাওয়া থাকলে। বৃষ্টি বা তুষারপাত হলে। আউটার শেল হতে হবে ওয়াটার প্রুফ কিন্তু ব্রিদেবল। বাইরে থেকে পানি ধুঁকবে না কিন্তু ভেতর থেকে ঘামের বাষ্প বের হয়ে যাবে।

 

 

 

 

 

 

  • শরীরের নিচের অংশে বেস লেয়ার, সাথে ফ্লিস বা সিনথেটিকের মিড লেয়ার, সবার শেষে ওয়াটার প্রুফ একটা প্যান্ট।
  • মাথায়/গলায় বালাক্লাভা, পায়ে প্রথমে সিনথেটিকের পাতলা মোজা, উপরে আর একটা বা দুইটা মোটা সিনথেটিকের মোজা।

 

ফজলে রাব্বি/৮ ডিসেম্বর ২০১৪

কাভার ছবিঃ কাম্রুজ্জামান কাম্রুল

5 thoughts on “চরম ঠাণ্ডায় ট্রেকিং এর কাপড় চোপড়

    • Fazlay Rabby says:

      Thanks for your comment. These informations are widely available in internet, we just tried to explain it in Bengali so that our people can understand easily. Thanks.

    • Riphat Rabby says:

      বেস লেয়ারের কিছু সহজ উদাহারন দিতে পারবেন? কোন ধরণের কাপড়? আর মিড লেয়ারের জন্য উল এর সোয়েটার হলে চলে?

      • Fazlay Rabby says:

        ইনার নামে স্পোর্টসের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। সিনথেটিক, গায়ের সাথে লেগে থাকে টাইট হয়ে। না পেলে পলিয়েস্টারের গেঞ্জি ও পাতলা টাইট ট্রাউসার ব্যাবহার করতে পারেন।

        মিড লেয়ার পলিয়েস্টারের গেঞ্জির সাথে হাল্কা সুয়েটার, বা একটা ফ্লিস (ভেল্ভেট/কম্বল টাইপের কাপড়) এর গেঞ্জি/পুলোভার। ঢাকা কলেজের উলটা পাসে বা বঙ্গ তে খুজলে মিড লেয়ার জ্যাকেট পাবেন ৬০০-৮০০/- এর ভিতরে – মোটা একটা রাবার টাইপের কাপড়, পানি গড়িয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *